জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন - নিজের নাম সংশোধনে করণীয় এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূ NID Card Correction Bangladesh

0
NID Card Correction Bangladesh

পূর্বে যারা ভোটার হয়েছেন তাদের অনেকেরই এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডে কিছু না কিছু ভুল অবশ্যই আছে। অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম কি? বা কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায়? ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে? 

সত্য এটাই যে, অনেকেই এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানেন না। ফলে তারা এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড এর ভুল নিয়ে নানা ধরণের ভোগান্তিতে পরেন। এই পোষ্টে উল্লেখ করবো খুব সহজে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করা যায়। ভোটার আইডি কার্ড এ নিজের নাম সংশোধনে করণীয় কি এবং কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করার নিয়ম

এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডে নিজের বাংলা নাম ও ইংরেজি নামে যদি প্রকৃতপক্ষেই ভুল থাকে তাহলে সংশোধনের আবেদন দাখিল করে তা ঠিক করা যায়। এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন দুই ভাবে করা যায়। 

প্রথমত সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম - ২ সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি রকেট/বিকাশের মাধ্যমে জমা দিয়ে তার রশিদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফরমের পিছেনে পিন-আপ করে জমা দিলে সংশোধনের কার্যক্রম শুরু হয়। 

দ্বিতীয়ত অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন দাখিল করা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট services.nidw.gov.bd ঠিকানায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করলে ওই ভোটারের ছবি, নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্ম তারিখসহ যাবতীয় তথ্য দেখা যায় এবং এগুলো এডিট করার মাধ্যমে আবেদন দাখিল করা যায়। আপনি চাইলে ঘরে বসে নিজেই নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অফিসে যাওয়া আসার কষ্ট করার প্রয়োজন হয় না এবং সময়ও বেচে যায়। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ঘরে বসে অনলাইনে এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন করাই ভালো।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে?

যদি নামের বানান প্রকৃতপক্ষে ভুল থাকে এবং নামের আগের থাকা মোঃ/মোছাঃ যোগ করতে বা বাদ দিতে চান, অর্থাৎ সাধারণ ভুল হয় সেক্ষেত্রে আবেদনের সাথে-

❖ এসএসসি সনদ: আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান সনদের ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। অথবা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর আবেদন করার সময় ছবি তুলে বা স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। 

❖ জন্ম নিবন্ধন সনদ: আবেদনকারীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ সবার জন্য বাধ্যতামূলক।

যদি আপনি বিবাহিত হন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ না থাকে তাহলে আবেদনের সাথে নিম্নোক্ত কাগজপত্রগুলো জমা দিতে পারেন।

❖ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি (বাধ্যতামূলক)।

❖ সন্তানদের ভোটার আইডি কার্ডের কপি অথবা শিক্ষা সনদ অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি থাকে)।

❖ স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের কপি (যদি থাকে)। 

 ❖ কাবিননামা/বৈবাহিক সনদ (যদি থাকে)।

❖ সার্ভিস বই/এমপিও শীটের কপি (চাকরিজীবি হলে)।

 ❖ পৌর মেয়র/চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদি (যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)।

আপনি যদি বিবাহিত না হন তাহলে একটু খেয়াল করে দেখবেন যেসব কাগজপত্রে আপনার নাম সঠিক করে লেখা আছে। সে সব কাগজপত্র আবেদনের সাথে জমা দেবেন।

যদি নামের পদবী সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে চান তাহলে-

❖ এসএসসি সনদ (যদি থাকে)।

❖ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (বাধ্যতামূলক)।

❖ স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি কার্ডের কপি (যদি থাকে)।

❖ কাবিননামা/বৈবাহিক সনদ (যদি থাকে)।

❖ সন্তানদের ভোটার আইডি কার্ড এর কপি অথবা শিক্ষা সনদ অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি থাকে)।

❖ পাসপোর্টের কপি (যদি থাকে)।

❖ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপি (যদি থাকে)।

❖ পৌর মেয়র/চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদি (যার ক্ষেত্রে যেটি প্রযোজ্য)।  


উপরোক্ত কাগজপত্রের মধ্যে যে কাগজপত্রগুলো আপনার আছে আবেদনের প্রাথমিক অবস্থায় সেগুলো জমা দেবেন।

যদি আপনার সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করেন সেক্ষেত্রে উপরিউল্লেখিত কাগজপত্রের মধ্যে যে যে কাগজগুলো আপনার আছে সেগুলোর সাথে একটি এ্যাফিডেভিট/হলফনামা জমা দিতে হবে। হলফনামা অবশ্যই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত হতে হবে, নোটারী পাবলিক থেকে না করাই ভালো। 

সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তনের আবেদনগুলোতে যত কাগজপত্রই দেন না কেন সেখানে সরেজমিন তদন্ত করার প্রয়োজন হয়। উপজেলা নির্বাচন অফিসার সরেজমিন তদন্ত করবেন রিপোর্ট তৈরী করে প্রেরণ করবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট। তদন্ত প্রতিবেদন ও আপনার দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আপনার আবেদন অনুমোদন করতে বা বাতিল করতে পারে। এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড থেকে নিজের সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তনের আবেদনগুলো সহজে অনুমোদন পায় না। কারণ সেখানে অনেক কিছু বিচার বিশ্লেষণ করার থাকে এবং সেগুলো সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আবেদন চলমান অবস্থায় থাকে। তারপরও আপনি চাইলে আমার দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী আবেদন করে দেখতে পারেন। 

আপনার দাখিলকৃত আবেদন অনুমোদন হলে বা বাতিল হলে বা আরো কাগজপত্র প্রয়োজন হলে আবেদনের সময় সরবরাহকৃত মোবাইল নম্বরে ম্যাসেজ করে জানানো হয়। 

আবেদন অনুমোদন হলে অনলাইন সিস্টেম হতে মূল এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড এর একটি অনুলিপি ডাউনলোড করা যাবে। সেটি প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে নিলেই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন। অথবা আবেদন অনুমোদন হওয়ার পর ৫-৭ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সংশোধিত এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ডটি সংগ্রহ করা যাবে।

এনআইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড এ নিজের নাম সংশোধনের জন্য যে পরামর্শ এখানে দেয়া হলো আপনি যদি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে পরামর্শ নেন তাহলে তারাও আপনাকে এই একই ধরণের পরামর্শ দেবে। তাই আপনার নামে যদি এ ধরণের কোন ভুল থাকে তাহলে আবেদনের প্রাথমিক অবস্থায় আমার দেয়া এই পরামর্শ অনুযায়ী আবেদন দাখিল করতে পারেন। 

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে উক্ত পরামর্শটি একটি সঠিক পরামর্শ। এর পরও যদি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্টস করবেন। আপনাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।


আসুন দেখে নেই, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে গিয়ে কি কি প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে।

প্রশ্ন: কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে?

উত্তর: সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।

-

প্রশ্ন: ভুলক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে?

উত্তর: জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।

-

প্রশ্ন: আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে?

উত্তর: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে।

-

প্রশ্ন: বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি?

উত্তর: নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে।

-

প্রশ্ন: বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন আইডি কার্ড থেকে স্বামীর নাম বিভাবে বাদ দিতে হবে?

উত্তর: বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।

-

প্রশ্ন: বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি। এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কিভাবে সংযুক্ত করতে পারি?

উত্তর: প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

-

প্রশ্ন: আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি?

উত্তর: অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না।

-

প্রশ্ন: আমার আইডি কার্ড এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?

উত্তর: এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

-

প্রশ্ন: নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

উত্তর: এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদ, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।

-

প্রশ্ন: নিজের ডাক নাম বা অন্য নামে নিবন্ধিত হলে সংশোধনের জন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে?

উত্তর: এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ, ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র।

-

প্রশ্ন: পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কি কি সনদ দাখিল করতে হয়?

উত্তর: পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে।

-

প্রশ্ন: ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন/সংশোধন করা যায়?

উত্তর: শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারনেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন, সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম- ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফর্মে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে।

-

প্রশ্ন: আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্ক ভাতা বা অন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স না হওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছি না। লোকে বলে আইডি কার্ড –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে?

উত্তর: আইডি কার্ড এ প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

-

প্রশ্ন: একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে কিভাবে তা সংশোধন করা যায়?

উত্তর: সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/ উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে।

-

প্রশ্ন: আমি পাশ না করেও অজ্ঞতাবশত: শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম। এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের উপায় কি?

উত্তর: আপনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসএসসি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে।

-

প্রশ্ন: আইডি কার্ড এ অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কিভাবে সংশোধন করা যাবে?

উত্তর: ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে অনলাইন/এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে।

-

প্রশ্ন: রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভূক্ত বা সংশোধনের জন্য কি করতে হয়?

উত্তর: রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট দাখিল করতে হয়।

-

প্রশ্ন: বয়স/ জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি?

উত্তর: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।

-

প্রশ্ন: স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কিভাবে করতে পারি?

উত্তর: নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে।

-

প্রশ্ন: আমার জন্ম তারিখ যথাযথভাবে লেখা হয়নি। আমার কাছে প্রামাণিক কোন দলিল নেই। কিভাবে সংশোধন করা যাবে?

উত্তর: সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রশ্ন: একটি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়?

উত্তর: এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)