ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৩ Driving License Application Process

0
Driving License Application Process

ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ। 

অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে।

মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া 

গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd)-এর মধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন সিস্টেম থেকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হবে এবং গ্রাহক সাথে সাথেই সিস্টেম থেকেই তার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। এরপর ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় প্রমাণক, তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স লার্ণার অনলাইন আবেদন

প্রথমে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর সার্ভিস পোর্টাল (বিএসপি) তে প্রবেশ করতে হবে।
ওয়েব সাইট লিংকঃ https://bsp.brta.gov.bd/
ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৩ Driving License Application Process
এখানে যদি আপনি নিবন্ধন না করে থাকেন তাহলে নিবন্ধন করতে হবে। আর যদি আগে থেকে নিবন্ধন করা থাকে তাহলে লগিন করতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৩ Driving License Application Process
নিবন্ধন করার জন্য আপনাকে নিবন্ধনে ক্লিক করতে হবে তারপর আপনি উপরোক্ত পেইজে চলে যাবেন। এখানে আপনার জন্ম তারিখ এনআইডি নাম্বার ও মোবাইল নাম্বার প্রবেশ করে নিবন্ধনে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি যাবে যেটি প্রবেশ করালে আপনাকে আপনি পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য বলবে। পাসওয়ার্ড সেট করা হয়ে গেলে আপনার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।
এর পর আপনি লগিনে যাবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৩ Driving License Application Process
এখানে আপনার মোবাইল নাম্বার ও যে পাসওয়ার্ডটি দিয়েছেন সেটি প্রবেশ করে লগিন ক্লিক করলে সার্ভিস পোর্টালের ড্যাশবোর্ডে চলে যাবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৩ Driving License Application Process

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন অনলাইনে আবেদন। b

২।  আবেদনকারীর ছবি [ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল)]

৩।  রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)। মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ফর্মের জন্য  এখানে ক্লিক করুন ]

৪।  জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)

৫।  ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি), [ আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে ]

৬।  বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি [ ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন/শ্রেণী পরিবর্তন/শ্রেণী সংযোজন/ লাইসেন্সের ধরণ পরিবর্তণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ] (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)

৭।  অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা হলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৮। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৭৪৮/-টাকা অনলাইনে পরিশোধ।

লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিস্নষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।

২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট

৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি।

৪। নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ২৪২৭/-টাকা ও অপেশাদার-  ৪১৫২/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।

৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।

৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

E-paper and Smart Driving License BD

QR code সম্বলিত ই-পেপার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি।
E-paper and Smart Driving License BD
E-paper and Smart Driving License BD
E-paper and Smart Driving License BD
E-paper and Smart Driving License BD
E-paper and Smart Driving License BD
E-paper and Smart Driving License BD
E-paper and Smart Driving License BD
E-paper and Smart Driving License BD
E-paper and Smart Driving License BD
E-paper and Smart Driving License BD
E-paper and Smart Driving License BD
E-paper and Smart Driving License BD

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতিঃ

(১) পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে, (২) পেশাদার মধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।

(৩) পেশাদার ভারী (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।

[বি:দ্র: পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর ন্যূনতম তিন বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়ম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ০৩ (তিন) বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ]

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া

(ক) অপেশাদারঃ

গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২৩০/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।

(খ) পেশাদারঃ

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্ত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২৩০/- টাকা জরিমানাসহ ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য গ্রাহককে নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং-এর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন;

২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য);

৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড -এর সত্যায়িত ফটোকপি;

৪। নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদের বিআরটিএ কপি;

৫। সদ্য তোলা ০২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি;

ডুপ্লিকেট লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া 

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।

২। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।

৩। নির্ধারিত ফী (হাই সিকিউরিউটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে ৮৭৫/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।

৪। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত টাকা? নবায়ন ফি কি একই

বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ সরকার সকল প্রকার যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ফি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি পুনঃনির্ধারণ করে দিয়েছে। BRTA কর্তৃক ইতোমধ্যে পুনঃনির্ধারিত নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ যানবাহনের ক্যাটাগরের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকমের ড্রাইভিং লাইসেন্স বিআরটিএ কর্তৃক দেয়া হয়ে থাকে। সকল প্রকার ড্রাইভিং লাইসেন্স কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হচ্ছে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং আরেকটা হচ্ছে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স।

পেশাদার কিংবা অপেশাদার দুই রকমের ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি বর্ধিত হয়েছে। বর্তমানে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আপনাকে ৪১৫২ টাকা এবং পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ২৪২৭  ফ্রি প্রদান করতে হবে। অনেকেই নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তাই আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নতুন ফি কত এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করব।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৩ Driving License Application Process

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)