বর্তমান সময়ে ই-কমার্স জনপ্রিয়তার সাথে সাথে কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠেছে। এমনও হয়েছে যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও হয়েছে। তাই বাংলাদেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে। আর এর নাম দেওয়া হয়েছে “ডিজিটাল-কমার্স বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা ডিবিআইডি” আজকের ইনফোটিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
ডিজিটাল কমার্স বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন কি?
যারা ডিজিটাল প্লাটফরমে মাধ্যমে ব্যবসা করবেন তাদের ব্যবসার বৈধতার জন্য সরকারের কাছ থেকে একটি ব্যবসার পরিচিতি নাম্বার নিতে হবে। এটাকেই ডিজিটাল-কমার্স বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন বা ডিবিআইডি বলা হচ্ছে।
শুধুমাত্র ফেসবুকের মাধ্যমেও ব্যবসা পরিচালনা করলেও এই ডিবিআইডি প্রয়োজন হবে। এটা ডিজিটাল ব্যবসা করার জন্য এখন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ডিজিটাল ব্যবসার জন্য নিবন্ধন করবেন কিভাবে?
অনলাইনের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তাকে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে। অনলাইনে নিবন্ধনের লিংক পাওয়া যাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েব পেইজে বা যৌথ –মূলধণ কোম্পানী বা ফার্ম সমূহের পরিদপ্তর বা আরজেএসসির ওয়েবসাইট কিংবা মাইগভ ডট বিডিতে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।
অনলাইনে আবেদন করার জন্য সরাসরি এই https://dbid.gov.bd/ লিংকে প্রবেশ করতে পারেন।
নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ছবি (বাধ্যতামূলক)
- স্বাক্ষর
- আবেদনকারীর জতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি (বাধ্যতামূলক)
- পরিচালকগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি (বাধ্যতামূলক)
- প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের জাতীয় পরিচয়পত্রে সত্যায়িত কপি (বধ্যতামূলক)
- এছাড়া আরো কিছু কাগজপত্র লাগতে পারে যেগুলো বাধ্যতামূলক নয় কিন্তু দিতে পারলে নিবন্ধনকারীর জন্য অনেক ভালো। যেমন-
- টিন সার্টিফিকেট, ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট নিবন্ধন, ভাড়া অফিসের ক্ষেত্রে চুক্তিপত্র ইত্যাদি।