সরকারি বিভিন্ন সেবার ফি জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংকে গিয়ে ধরণা দেই। অনেক সময় ফি জমা সঠিক সময়ে হয় না। ফলে নির্দিষ্ট কাজটি বাতিল হয়ে যায় কিংবা জরিমানা দিতে হয়। আজকের ইনফোতে ই চালান www.echallan.gov.bd: অনলাইনে সরকারি সেবার ফি জমা দেওয়ার নিয়ম এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রাপ্তি বাতায়ন সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হবে।
ই চালান-অনলাইনে সরকারি সেবার ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
সরকারি চাকরির আবেদন ফি থেকে শুরু করে ভ্যাট, আয়কর ইত্যাদি কাজে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা দেয়ার জন্য আমরা ট্রেজারি চালান ফরম ব্যবহার করে সোনালি ব্যাংকে লাইন ধরতে হয়। এ বিড়ম্ভনা থেকে মুক্তি পেতে চলে এসেছে ই-চালান পদ্ধতি। আজ আমরা জানবো কিভাবে ঘরে বসেই চালানের মাধ্যমে অর্থ জমা দিয়ে চালান কপি সংগ্রহ করতে হয়।
ই-চালান জমা দেওয়ার নিয়ম
১। ই-চালান পোর্টাল www.echallan.gov.bd এ প্রবেশ করুন।
২। যে খাতে চালান জমা করা হবে তা নির্বাচন করে ক্লিক করুন।
৩। তথ্য প্রদানের স্ত্রীনটি প্রদর্শিত হলে চালানের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী পূরণ করে “দাখিল” বাটনটি চাপুন।
৪। চালানের ড্রাফট কপি স্ক্রীনে প্রদর্শিত হলে তথ্যের সঠিকতা যাচাই করুন। তথ্য সঠিক হলে “পরিশোধ বাটনটি চাপুন।
৫। কাঙ্খিত পেমেন্ট অপশনটি (সোনালী ব্যাংকের ডেবিট/ক্রেডিট/প্রিপেইড কার্ড/একাউন্ট ট্রান্সফার/যেকোন ব্যাংকের VISA / MASTER/Amex কার্ড/বিকাশ/রকেট/ইউক্যাশ) নির্বাচন করে পেমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
৬। পেমেন্ট সফল হলে চালানের কপিটি প্রিন্ট/সেভ করুন।
ই-চালানের সুবিধা
ব্যাংক চালানের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব জমা প্রদানের প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি ‘ই চালান’ এর মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব জমা প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ৪ ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে –
১। অনলাইন জমা প্রদানের সুবিধাঃ অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা রয়েছে এমন যে কেউ অনলাইনে রাজস্ব জমা দিতে পারবেন। তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফরম অনলাইনে পূরণ করার পর ‘পরিশোধের পদ্ধতি’ অংশে গিয়ে ‘অনলাইন পরিশোধ’ অপশনটি নির্বাচন করে নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্ট থেকে অর্থ ট্রান্সফারের মাধ্যমে চালানের অর্থ জমা দেওয়া যাবে।
২। কাউন্টারে জমা প্রদানের সুবিধাঃ অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা নেই কিংবা টাকার পরিমাণ বেশী কিংবা অনলাইন লেনদেনে আগ্রহী নন, এমন যে কেউ ‘ই চালান’ এর নির্দিষ্ট অংশসমূহের তথ্য পূরণের পর ‘পরিশোধের পদ্ধতি’ অংশে গিয়ে ‘কাউন্টার জমা’ অপশনটি নির্বাচন করবেন । এরপর প্রিন্ট অপশন গিয়ে ‘বার কোড’ যুক্ত পূরণকৃত চালান ফরমটি প্রিন্ট করে নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখায় গিয়ে নগদ/চেক/ড্রাফট/পে অর্ডারসহ জমা দিতে হবে। ‘বার কোড’ রিডিং এর মাধ্যমে ব্যাংক কাংঙ্খিত তথ্য আহরিত করে লেনদেনটি সম্পন্ন করবে।
৩। নির্দিষ্ট চালান ফরম পূরণঃ অনলাইন ব্যাংকিং বা কাউন্টারে জমা প্রদান না করেও শুধুমাত্র নির্দিষ্ট চালান ফরম পূরণ করে টাইপকৃত চালান ফরম প্রিন্ট করার সুবিধাও ‘ই-চালান’ এ রয়েছে। এক্ষেত্রে সুবিধামত যে-কোন শাখায় পূরণকৃত চালান ফরমটি ব্যবহার করা যাবে।
৪। শূন্য ফরমঃ আপনি যদি শুধু শূন্য ফরম চান তাও ‘চালান ফরম’ মেনুতে ক্লিক করে শুধু চালান ফরম প্রিন্ট করে পরবর্তীতে হাতে লিখে জমা দিতে পারবেন।
সঠিক কোড নির্বাচন পদ্ধতি
যে কোডে টাকা জমা দেওয়া হবে সে কোডটি ৩ ভাবে নির্বাচন করা যাবে।
১। বিষয়ভিত্তিক জমা – আপনি যে খাতে টাকা জমা দিতে চান, ‘বিষয়ভিত্তিক জমা’ মেনু থেকে নির্দিষ্ট বিষয়ে যাওয়ার পর প্রর্দশিত সাব-মেনুসমূহ থেকে সঠিকটি নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় কোডটি চিহ্নিত করতে পারবেন।
২। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক জমা - যে কোডের বিপরীতে আপনি টাকা জমা দিতে চান, সে কোড সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এর নাম জানা থাকলে ‘প্রতিষ্ঠানভিত্তিক জমা’ মেনুতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নির্বাচনপূর্বক প্রর্দশিত কোডসমূহের তালিকা থেকে আপনি সঠিক কোডটি নির্বাচন করতে পারবেন।
৩। অর্থনৈতিক কোডভিত্তিক জমা - নির্দিষ্ট কোড জানা থাকলে ‘অর্থনৈতিক কোডভিত্তিক জমা’ মেনু থেকে নির্দিষ্ট কোডটি নির্বাচন করেও আপনি রাজস্ব জমা প্রক্রিয়াকরণ করতে পারবেন।